জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ষষ্ঠবারের মতো বিপুলভোটে জয়ী হওয়ার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী হয়েছেন।
তাঁর মন্ত্রী হওয়ার খবরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ-উল্লাস।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মুক্তি মিনার উদ্যোগে মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি চাপ্তা টুকুবাজার থেকে বের হয়ে বারিক বাজার, ঘোনাপাড়া বাজার, পরানপুরহাট প্রদক্ষিণ করে। পরে বারিক বাজারে এক খিচুরিভোজের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাতইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মুক্তি মিনা, নিরঞ্জন বিশ্বাস, আলিমুজ্জামান আলিম, সাজ্জাদ মিনা, সোহেল শেখ, হাসব মিনা, বরকত মীর, তাজু মিনা, বোরহান, তাইয়েব খাকী, বিল্লাল হোসেন, শ্যামল সরকার, নান্টু কাজী, কুটি শেখ, নাদিম, জসিম, উসামা মিনা, আমিন মিনা, কবি মুন্সী, সবুজ মিনা প্রমুখ।
রাতইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মুক্তি মিনা বলেন, ‘রাতইলবাসীর স্বপ্ন ছিল মুহাম্মাদ ফারুক খানকে পুনরায় মন্ত্রী হিসেবে দেখার। আজ সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধনবাদ কৃতজ্ঞ জানাই।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন) থেকে জয়ী হয়ে এমপি হয়েছেন ফারুক খান।
তিনি নৌকা প্রতীকে ১৩৮ কেন্দ্রে মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৭। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মো. কাবির মিয়া ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৩৪ ভোট।
১৯৫১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তার পিতামাতা সিরাজুল করিম খান এবং মা খালেদা করিম খানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ফারুক খান। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে ডিফেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স করেছেন।
সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফারুক খান। তিনি এর আগে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।